আরও দেখুন
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট:
সোমবার GBP/USD পেয়ারের দরপতন হলেও মূলত আমরা সম্পূর্ণভাবে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট প্রত্যক্ষ করছি৷ হ্যাঁ, এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম, এবং খুবই অনিয়মিত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত। অতএব, এই ধরনের মুভমেন্টের ক্ষেত্রে দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা অত্যন্ত কঠিন এবং সম্ভবত এমনকি সার্থক হবে না। তা সত্ত্বেও, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রয়েছে, যদিও, উদাহরণস্বরূপ, গতকাল কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা মৌলিক ইভেন্ট ছিল না। এমনকি যদি এই পেয়ারের মূল্য শর্তসাপেক্ষ ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, তাহলেও বাজার পরিস্থিতির খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। সবাই এখন দুই সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের আশা করছে। যাইহোক, প্রায় ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সময় ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার অর্থ এই নয় যে পাউন্ডের মূল্যের 100-200 পয়েন্টের কারেকশন হবে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা এখনও আশা করছি যে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকবে। এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে এই বিষয়টি মনে রাখবেন।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট:
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেগুলো নিয়ে কাজ করার কোনও কারণ ছিল না। 5-মিনিটের চার্ট স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে এই পেয়ারের মূল্য সারা দিন জুড়ে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সময় লেভেল, ট্রেন্ডলাইন এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল সিগন্যাল/সূচক কোন কিছুই কাজ করে না।
মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে এবং দরপতন অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে, কিন্তু এই পেয়ার বিক্রি করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ গত দুই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি। যাইহোক, বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের আশা করার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। মাঝারি মেয়াদে, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের ক্রমাগত দরপতন হবে, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক বিকল্প।
মঙ্গলবার, ফ্ল্যাট মুভমেন্ট ছাড়া আর কোন কিছুই প্রত্যাশিত নয়। আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে ফ্ল্যাট মার্কেট চলাকালীন সময়ে মূল্য ট্রেন্ডলাইন বা লেভেল ব্রেক গেলে অত্যন্ত দুর্বল সিগন্যাল গঠিত হয়। এবং বর্তমানে, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের খুব স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, আপনি 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, এবং 1.3537 লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্য মজুরি এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এগুলো বেশ আকর্ষণীয় প্রতিবেদন, তবে সম্ভবত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। বুধবার প্রকাশিতব্য যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।