আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার, তুলনামূলক শান্তভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে, এমনকি FOMC-এর বৈঠকও এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের ঘটাতে পারেনি। মনে হচ্ছে মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, যার ফলে অন্যান্য ইভেন্টের জন্য তাদের তেমন কোনো আগ্রহ অবশিষ্ট ছিল না। এই কারণে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0804 লেভেলের দিকে কারেকশন প্রদর্শন করেছে তবে এই লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে, মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রাখতে যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হয়েছে।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল গতকাল উল্লেখ করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ফলাফল ফেডের নীতিগত সিদ্ধান্তে কোন প্রভাব ফেলবে না। তিনি আরও বলেছিলেন যে নির্ধারিত সময়ের আগে তার পদত্যাগের কোনো পরিকল্পনা নেই। বছরের শেষ বৈঠক সম্পর্কেও তিনি ইঙ্গিত দেন যে আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী প্রয়োজন হলে ফেডের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ স্থগিত থাকতে পারে। আমরা ফেডের বৈঠকের ফলাফলকে "মাঝারি মাত্রার হকিশ বা কঠোর" হিসেবে মূল্যায়ন করছি।
বৃহস্পতিবার, ৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে সেরা ট্রেডিং সিগন্যালটি সকালে পাওয়া গিয়েছিল। মূল্য 1.0726–1.0733 জোন ব্রেক করে দিনের বেলা 1.0797–1.0803 জোনের দিকে উঠে যায়। বাকি সিগন্যালগুলো মার্কিন সেশনের সময় তৈরি হয়েছিল, যা ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আসে। তাই, আমরা মনে করি এই সিগন্যালগুলো নিয়ে ট্রেড করা উপযুক্ত ছিল না।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইম ফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের আবারও কারেকশন হতে পারে, যেহেতু বুধবারের দরপতন কোন স্পষ্ট কারণ ছাড়াই ঘটেছিল। তবে, আমরা মনে করি এই কারেকশন শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা কম, এর জন্য ধারাবাহিকভাবে ইউরোকে সমর্থনকারী সংবাদের প্রয়োজন হবে। এমনকি এমন খবরও সবসময় ইউরোর পক্ষে সহায়ক নাও হতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার ক্রয়ের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবারের জন্য 1.0804 লেভেলটি গুরুত্বপূর্ণ। যদি ইউরোর মূল্যের কারেকশন যথেষ্ট মনে হয়, তাহলে এই লেভেল থেকে পুনরায় দরপতন শুরু হতে পারে, যার লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0726 এবং 1.0678 এর লেভেল।
৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, আমাদের ট্রেডিং করার জন্য 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140 এর লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত। শুক্রবারে, ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে এটির প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আজকের মার্কেট মুভমেন্ট থেকে এটি নিশ্চিত হওয়া যাবে যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে না কি আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে কারেকশন চলবে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।