আরও দেখুন
শুক্রবার খুব বেশি সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক অর্থনৈতিক প্রকাশিত হবে না। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রেে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে প্রকাশিতব্য কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচকের কথা উল্লেখ করা যায়। এই সূচকটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ এবং উল্লেখযোগ্য, তবে এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া কেবল তখনই ঘটবে যখন প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হবে। আজ, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল এবং ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করতে পারে। আমরা মনে করি যে আজ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য সিপোলোন এবং ম্যাককাউল, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিল এবং ফেড গভর্নর মিশেল বোম্যানের বক্তব্য রয়েছে। আমরা মনে করি এই কর্মকর্তারা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেবেন না, কারণ পাওয়েল এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি গতকাল মার্কেটে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সরবরাহ করেছেন, যখন ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড গত সপ্তাহেই বক্তব্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, পুনরায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স লেভেলে এসে পৌঁছেছে যা মূল্য গতকাল ব্রেক করতে পারেনি। তাই যতক্ষণ না মূল্য এই লেভেলগুলো অতিক্রম করে, ততক্ষণ মার্কিন ডলারের আরও দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যা মূলত মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনাই নির্দেশ করে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।