empty
 
 
04.12.2024 08:12 AM
GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ৪ ডিসেম্বর; ফেড হয়তো পাউন্ডের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকতে পারে

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই পেয়ারের মূল্য প্রায়শই উর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়েছে। দুই মাসের দরপতনের পর, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের সামান্য কারেকশন দেখা গেছে, কিন্তু এই পুরো দরপতনটি চার্টে পুরোপুরি ফুটে উঠছে না, যেখানে ন্যূনতম কারেকশন হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটে দীর্ঘ সময় ধরে কারেকশন চলার সম্ভাবনা নেই। যদি এই সপ্তাহে মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে পাউন্ড আবার দরপতনের শিকার হতে পারে, কারণ এটি এখনও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অন্যায্যভাবে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে—একই কথা ইউরোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যা আমরা ২০২৪ সালের শুরু থেকেই উল্লেখ করে আসছি।

ডলারকে ফেডারেল রিজার্ভ অতিরিক্ত সমর্থন দিতে পারে। মনে করিয়ে দিয়ে চাই যে গত দুই বছরে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে মার্কেটের ট্রেডাররা মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়টি পুরোটা বা প্রায় সম্পূর্ণ মূল্যায়ন করেছে। এখন ট্রেডারদের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করতে হবে, যা এখনো সেভাবে শুরুই হয়নি। এর ফলে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি: পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য অতিরিক্ত বেড়েছে, এবং ট্রেডাররা এখনো যুক্তরাজ্যের সুদের হার হ্রাসের বিষয়টি পুরোপুরি মূল্যায়ন করেনি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনো বাস্তব অর্থে সুদের হার কমানো শুরুই করেনি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, পাউন্ডের মূল্য শুধুমাত্র নিম্নমুখী হতে থাকবে।

শুধু তাই নয়, মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডের মুদ্রানীতিমালার নমনীয়করণের বিষয়টি পুরোপুরিভাবে মূল্যায়ন করেছে, এবং এখন মনে হচ্ছে ফেড হয়তো আগের প্রত্যাশার তুলনায় কম আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ফেড সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, যিনি ইতোমধ্যেই যে কোন কোন দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে সেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এটি সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক নিয়ে আসবে, কারণ কোনো দেশই এমন পদক্ষেপ শান্তভাবে সহ্য করবে না। এর ফলে মার্কিন মূল্যস্ফীতিও বাড়বে, যা পুনরায় মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির গতি বাড়াতে পারে। ফেড তখন স্বল্প মাত্রায় সুদের হার কমাতে পারে বা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে আবার সুদের হার বাড়াতে পারে। তবে, মার্কেটের ইতোমধ্যে "জো বাইডেনের ক্ষমতার সময়কাল" অর্থাৎ যখান কোনো নতুন শুল্ক আরোপ হয় না এবং সবকিছু স্থিতিশীল থাকে, মূল্যায়ন করেছে।

যতদিন এই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে, ডলারের আরও মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা ততটাই শক্তিশালী হবে। এদিকে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড শুধু পাউন্ডের জন্য সাময়িকভাবে সমর্থন প্রদান করছে। মনে রাখতে হবে যে ব্যাংকটির বর্তমান অনিশ্চয়তা অবশেষে আগ্রাসী নীতিমালা নমনীয় করার দিকে নিয়ে যাবে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভিন্ন কারণে আশংকায় রয়েছে, এবং যখন তারা আরও সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, তখন পাউন্ডের আরও দ্রুত দরপতন শুরু হতে পারে। বিকল্পভাবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড যদি দীর্ঘ সময় ধরে ধীরগতিতে সুদের হার কমায়, তাহলে পাউন্ডের দরপতনের মাত্রা ধীরগতির হবে কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হবে।

যেভাবেই দেখা হোক না কেন পাউন্ডের মূল্য নিম্নমুখী হতে থাকবে। ১৬ বছরের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অটুট রয়েছে, এবং ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করার জন্য কোনো মজবুত ভিত্তি নেই।

This image is no longer relevant

গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা হচ্ছে ৮৭ পিপস, যা এই পেয়ারের জন্য "গড়পরতা" হিসেবে বিবেচিত। ৪ ডিসেম্বর, বুধবারে, আমরা 1.2607 এবং 1.2781 লেভেলের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিচের দিকে নির্দেশ করছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সংকেত দিচ্ছে। CCI ইন্ডিকেটর একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স তৈরি করেছে এবং একাধিকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। কারেকশন শুরু হয়েছে, তবে এর স্থায়িত্ব অনুমান করা কঠিন।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1: 1.2573
  • S2: 1.2451

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1: 1.2695
  • R2: 1.2817
  • R3: 1.2939

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনো লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ মুদ্রার সম্ভাব্য দর বৃদ্ধির সকল কারণ একাধিকবার মূল্যায়ন করেছে। যদি আপনি "শুধুমাত্র টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস" এর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তবে 1.2781 এবং 1.2817 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, এক্ষেত্রে মূল্যকে মুভিং এভারেজের ওপরে থাকতে হবে। তবে, শর্ট পজিশন অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.2451, এক্ষেত্রে মূল্যকে মুভিং এভারেজের নিচে থাকতে হবে।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.