আরও দেখুন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সাথে যেকোনো বাণিজ্য আলোচনায় খুব "ভদ্র" থাকার পরিকল্পনা করেছেন এবং যদি দুই দেশ কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে, তাহলে আরোপিত শুল্ক কমানো হবে—এই ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন ডলার বেশিরভাগ প্রধান মুদ্রার বিপরীতে তীব্রভাবে শক্তিশালী হয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটে চলমান অস্থিরতার মধ্যে ট্রাম্প সম্ভবত বেইজিংয়ের প্রতি তার কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসছেন।
ট্রাম্প বলেন, "আরোপিত শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হবে, তবে তা অবশ্যই শূন্যের কোঠায় নামবে না। আমরা খুব ভদ্র আচরণ করব, তারাও খুব ভদ্র আচরণ করবে, তারপর দেখা যাক কী হয়।"
তিনি আরও বলেন যে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রয়োজন দেখছেন না এবং আলোচনায় কোভিড-১৯ এর বিষয়টি তুলবেন না—যা বেইজিংয়ে অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি রাজনৈতিক বিষয়।
উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য এসেছে এমন একটি সময়ে, যখন (২ এপ্রিল) শুল্ক আরোপের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেট, ট্রেজারি বন্ড এবং ডলারের দরপতন ঘটেছে। যদিও এই বছরের শুরুতে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত 145% শুল্ক বহাল রয়েছে, তবে কম্পিউটার এবং জনপ্রিয় কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। গতকাল খবর এসেছে যে এই ছাড় গাড়ি শিল্পেও সম্প্রসারিত করা হবে।
স্পষ্টতই, মার্কেটে বিক্রির চাপ এবং ডলারের দুর্বলতা নিয়ে ট্রাম্প আতঙ্কিত, তাই তিনি এখনই একটি চুক্তির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এখন পর্যন্ত, চীন ট্রাম্পের "ভদ্র আচরণ" করার প্রতিশ্রুতির আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি, তবে সংবাদ সংস্থা কেইলিয়ান এটিকে শুল্ক নীতির প্রতি ট্রাম্পের অবস্থান নমনীয় করার লক্ষণ হিসেবে দেখছে।
এই মাসের শুরুতে, বেইজিং ইঙ্গিত দিয়েছিল যে তারা যেকোনো আলোচনায় সম্মত হওয়ার আগে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিছু বাস্তব পদক্ষেপ দেখতে চায়—বিশেষ করে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বিরূপ মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে দেখতে চায়। চীনা কর্তৃপক্ষ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের চীনা কৃষকদের নিয়ে করা মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে, যা এক চীনা কূটনীতিক "অজ্ঞতা এবং অসম্মানজনক" বলে অভিহিত করেছেন।
গতকাল এক ভাষণে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট বলেছেন যে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমন করার পথ খুঁজে বের করবে এবং এটি নিকট ভবিষ্যতেই হতে পারে। তিনি আরও বলেন যে চীনের সাথে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য নয়। তবে ট্রেজারি সেক্রেটারি বিশ্বাস করেন, যেকোন চুক্তি সম্পন্ন হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগতে পারে। তিনি পুনরায় উল্লেখ করেন যে চীন ভোক্তা অর্থনীতি দমিয়ে রেখে উৎপাদন খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছে, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যেকোনো চুক্তিতে এমন ভারসাম্য আনতে হবে, যাতে যুক্তরাষ্ট্র দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে পারে।
সবকিছু মিলিয়ে, মার্কিন ডলার শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে—যা মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডারই প্রত্যাশা করেছিল, কারণ এই খবরের ফলে অতিরিক্ত ক্রয়কৃত ইউরো এবং ব্রিটিশ পাউন্ড আকর্ষণ হারিয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:
বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের অবশ্যই মূল্যকে 1.1360 লেভেল পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। এই পেয়ারের মূল্য কেবল এই লেভেল ব্রেক করলেই 1.1430 এর লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্যের 1.1500 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1570 লেভেল।
যদি মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1280 এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় প্রধান ক্রেতাদের সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে সমর্থন না পাওয়া যায়, তাহলে পুনরায় 1.1210 এর লেভেলের টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1150 থেকে লং পজিশনে এন্ট্রির কথা ভাবা যেতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ:
GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের অবশ্যই এই পেয়ারের মূল্যের নিকটবর্তী রেসিস্ট্যান্স 1.3300 এর লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.3350 লেভেলের দিকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা সম্ভব হবে, যা এখনো ব্রেক করা কঠিন হতে পারে। বুলিশ প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3416 এর জোন।
যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3240 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে বুলিশ পজিশনে বড় আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3205 লেভেল পর্যন্ত নামতে পারে, এরপর সম্ভাব্যভাবে 1.3165 পর্যন্ত যেতে পারে।
You have already liked this post today
*এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। চীন বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত — এই খবরের প্রকাশের পর বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট কিনতে শুরু করেছে এবং মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে। আগেই
শুক্রবার কেবলমাত্র অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর মধ্যে কয়েকটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি থাকবে, তবে এটি
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের কারণে সৃষ্টি চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বেশ ক্লান্ত। পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন পুরোপুরিভাবে আজ প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ
বুধবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে আমরা নিশ্চিত নই যে এগুলোর ফলাফল কারেন্সি পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্টে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে কিনা। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো অধিকাংশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি শিগগিরই হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে মার্কেট আবারও স্থবির হয়ে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যে গোটা বিশ্বের ওপর — বিশেষ করে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের
মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমরা জার্মানির GfK ভোক্তা আস্থা সূচক বা ইউরোজোনের ভোক্তা মনোভাবের মতো
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) কর্মকর্তারা আরও সুদের হার কমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কারণ তারা প্রত্যাশা করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতিমালা ইউরোপের অর্থনীতির ওপর গুরুতর এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে—এমনকি
আসন্ন সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে, যা মার্কেটের গতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে—তবে আসলেই কি তা ঘটবে? ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৃষ্ট ভূরাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষাপটে, যা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্ব অর্থনীতির
সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তাই সোমবারও বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করার নেই। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প
Training video
Your IP address shows that you are currently located in the USA. If you are a resident of the United States, you are prohibited from using the services of InstaFintech Group including online trading, online transfers, deposit/withdrawal of funds, etc.
If you think you are seeing this message by mistake and your location is not the US, kindly proceed to the website. Otherwise, you must leave the website in order to comply with government restrictions.
Why does your IP address show your location as the USA?
Please confirm whether you are a US resident or not by clicking the relevant button below. If you choose the wrong option, being a US resident, you will not be able to open an account with InstaTrade anyway.
We are sorry for any inconvenience caused by this message.