ইরানি রিয়াল

ইরানি রিয়াল হল বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল জাতীয় মুদ্রা, 42,000 রিয়াল হচ্ছে $1 এর সমান। বেশ কয়েকটি বিদেশী দেশ কর্তৃক দেশটির উপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের মুদ্রা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো, যার মধ্যে তেল রপ্তানির সীমা রয়েছে, ইরানের বৈদেশিক বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করেছে, যা একইসাথে ইরানি রিয়ালকেও নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। ইরানের উচ্চ মূল্যস্ফীতিও জাতীয় মুদ্রার প্রতি আস্থা নষ্ট করেছে।

ভিয়েতনামী ডং

ভিয়েতনামী ডং পৃথিবীর দুর্বলতম মুদ্রার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। বর্তমানে, $1 কিনতে, আপনাকে 23 হাজারের বেশি ডং দিতে হবে। এই মুদ্রার দুর্বলতার জন্য ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ঘাটতিকে দায়ী করা যেতে পারে। যাইহোক, গত বছর, আরেকটি কারণে ভিয়েতনামী ডং-এর দর উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল। 2022 সালের নভেম্বরে মার্কিন সুদের হারের তীব্র বৃদ্ধির ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভিয়েতনামী ডং-এর মূল্য বহু বছরের সর্বনিম্ন স্তর 24,875-এ নেমে এসেছে।

লাও কিপ

ফোর্বসের দুর্বলতম জাতীয় মুদ্রার তালিকায় লাও কিপ তৃতীয়। $1 মার্কিন ডলার সমান 19 হাজার লাওতিয়ান কিপ। দেশটির অর্থনীতির মন্থরতা, ক্রমবর্ধমান বহিরাগত সরকারি ঋণ, সীমিত বিনিয়োগ, সেইসাথে দ্রুত মূল্যস্ফীতির হার সেখানকার জাতীয় মুদ্রার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। গত বছর, লাওসে শীর্ষ 20 দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল। 2022 সালে, দেশটির মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি শুধুমাত্র গতি লাভ করেছে, যা জুন মাসে বার্ষিক ভিত্তে 28.6%-এ পৌঁছেছে।

সিয়েরা লিওনিয়ান লিওন

সিয়েরা লিওনিয়ান লিওন হল বিশ্বের চতুর্থ দুর্বল মুদ্রা। $1 সমান 17,000 লিওন। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে 2023 সালে দেশটির মুদ্রার মান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা 40% এর উপরে উঠেছে, সেইসাথে ব্যাপক বৈদেশিক ঋণ এবং মন্দাও এতে প্রভাব ফেলেছে। 2014 সালে ইবোলা মহামারীর কারণে সিয়েরা লিওনের অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে গিয়েছিল এবং তারপর থেকে দেশটি পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় মুদ্রা বিশ্বের দুর্বলতম মুদ্রার মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বর্তমানে, $1 কিনতে একজন ব্যক্তিকে প্রায় 15 হাজার ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া দিতে হবে। দেশটির মুদ্রার বর্তমান দুর্বলতা মূলত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং দেশের অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কিত ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে হয়েছে। এছাড়াও IDR-এর নেতিবাচক কারণগুলোর মধ্যে একটি হল ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতির আমদানির উপর প্রচুর নির্ভরতা। দেশটি বর্তমানে তেলসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানি করে। বিপুল আমদানি ব্যয় একটি দেশের বাণিজ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যা রুপিয়ার উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে।