বিশ্বের শীর্ষ ৫টি শীতলতম দেশ
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে, যেখানে সারাবছরই ঠান্ডা থাকে এবং বছরের বেশিরভাগ সময়ই মানুষকে উষ্ণ পোশাক পরতে হইয়। এখান থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি শীতলতম দেশ সম্পর্কে জেনে নিন।
বুলগেরিয়া
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও, বুলগেরিয়া ইউরো প্রচলনে গড়িমসি করেছে এবং বুলগেরিয়ান লেভের ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে। এর প্রধান কারণ ইউরো চালু হলে দেশটির অর্থনীতি এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতার উপর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ফলস্বরূপ, লেভের প্রচলন অব্যাহত রয়েছে, যা দেশটিকে আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নে স্বাধীনতা এবং দেশীয় অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াগুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রদান করেছে।
চেক প্রজাতন্ত্র
এই দেশটিরও ইউরো গ্রহণ করার জন্য কোন তাড়া নেই বলে মনে হচ্ছে, দেশটির জনগণ এখনও চেক কোরুনাকে তাদের প্রাথমিক মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করে। এর প্রধান কারণ হল আর্থিক নীতিমালার উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা এবং ইউরো গ্রহণের সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা। দেশটি আশঙ্কা করছে যে ইউরো প্রচলন করলে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি এবং অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার ওপরও জোর দিচ্ছে।
ডেনমার্ক
যদিও ডেনমার্ক ইইউ সদস্য দেশ, তবে এটি ড্যানিশ ক্রোনকে জাতীয় মুদ্রা হিসাবে রেখে ইউরোজোনের বাইরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডেনিশ সরকার বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে ইউরো প্রচলন করা হলে সেটি তাদের দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং মুদ্রানীতির উপর নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পেতে পারে। উপরন্তু, ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের সাথে দৃঢ় বন্ধনের কারণে ড্যানিশরা ইউরো দিয়ে ক্রোনের প্রতিস্থাপন করতে চায় না।
হাঙ্গেরি
যদিও হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে চায়, তবে দেশটি এখনও ইউরো চালু করেনি এবং ফরিন্টকেই জাতীয় মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করে গড়ে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক উভয় কারণে নেয়া হয়েছে। হাঙ্গেরি অর্থনৈতিক ধাক্কা এবং মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি এড়াতে আর্থিক নীতিমালার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। হাঙ্গেরিতে ইউরো প্রবর্তন করা হলে দেশটি উল্লিখিত সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। সেইসাথে, হাঙ্গেরির জনগণেরও ইউরোর প্রতি সমর্থন কম, যা ইউরো প্রচলনে দেশটির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে চলেছে।
পোল্যান্ড
ইইউ-এর সদস্য দেশ হওয়া সত্ত্বেও পোল্যান্ডও ইউরো প্রচলন করেনি, এর পরিবর্তে দেশটি পোলিশ জলোটি ব্যবহার করে। পোল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের আর্থিক নীতিমালার উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার আকাঙ্ক্ষা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ঝুঁকির উদ্বেগই এর প্রধান কারণ। ইউরো প্রচলনের আগে পোলিশ সরকারের উপর সামষ্টিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার এবং সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করার জন্য অভিন্ন মানদণ্ড পূরণ করার জন্য কঠোর চাপ রয়েছে।
রোমানিয়া
রোমানিয়াতে লিউ দেশটির জাতীয় মুদ্রা হিসাবে রয়ে গেছে, যদিও দেশটির সরকার বারবার ভবিষ্যতে ইউরোজোনে যোগদানের অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রধানত উচ্চতর অর্থনৈতিক মানদন্ড এবং ইইউ-এর অভিন্ন অর্থনৈতিক মানদণ্ড পূরণের প্রয়োজনের কারণে রোমানিয়ে ইউরোজোনে যোগদান করতে পারেনি। রোমানিয়ার কর্তৃপক্ষ ইউরো প্রচলন করার আগে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছে।
সুইডেন
যদিও সুইডেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, তবে এই দেশটিও ইউরো প্রচলন করেনি, বরং তারা সুইডিশ ক্রোনারের ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির সরকার প্রাথমিকভাবে মুদ্রানীতিতে স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য ইউরো প্রচলন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বারবার বলেছে যে ক্রোনার অর্থনৈতিক ওঠানামা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার ব্যাপারে আরও ইতিবাচক ব্যবস্থাপনার সুযোগ দেয়। 2003 সালের গণভোটে, বেশিরভাগ সুইডিশ ইউরো প্রচলনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল, যা এই সিদ্ধান্তে একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে, যেখানে সারাবছরই ঠান্ডা থাকে এবং বছরের বেশিরভাগ সময়ই মানুষকে উষ্ণ পোশাক পরতে হইয়। এখান থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি শীতলতম দেশ সম্পর্কে জেনে নিন।
ইলন মাস্ক বেশ ভালভাবেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসাবে তার মর্যাদা ধরে রেখেছেন। তবুও, ইতিহাসের বেশ কয়েকজন ব্যক্তিদের সম্পদের তুলনায় তার সম্পদের পরিমাণ বেশ কমই বলে মনে হয়। ইতিহাসের পাতায় চোখ বুলালে, আমরা দেখতে পাব যে কিছু ব্যক্তি প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের যুগের অনেক আগেই সত্যিকার অর্থে ব্যাপক পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছিলেন। ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে কারা স্থান করে নিয়েছে তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
বিশ্লেষণাত্মক সাময়িকী ইউএস নিউজ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট প্রায় ১৭,০০০ মানুষের উপর চালানো একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে বিশ্বের সেরা দেশগুলোর একটি তালিকা উপস্থাপন করেছে। এই তালিকায় অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শক্তিশালী শ্রমবাজার, আয়ের সমতা, পরিবার ও বন্ধুত্ব, নিরাপত্তা, শিক্ষার মান এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন দেশ এই তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে।